জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় স্কুলছাত্রী সোমা আক্তারের আত্মহত্যা ঘটনার মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে ।
রোববার (২২মে) সকাল সাড়ে ১০ টায় মেলান্দহ উপজেলা পরিষদের সমানে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে স্বজনদের অভিযোগ, আসামি ইয়াছিন প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করলেও পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করছে না। প্রভাবশালির ইন্দনে এবংঅর্থ করবারির কারণে আসাামিদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না।
আইন প্রয়োগকারি বাহিনীর উপমহলের সু- দৃষ্টি কামনা করছি। আসামির পরিবারের লোকজন প্রতিনিয়ত মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি -ধামকিও দিচ্ছে।
মানববন্ধনে বক্তব্য নিহত সোমা আক্তারের বাবা জুলফিকার আলী বলেন, আমার মেয়ের সাথে আসামি ইয়াছিনের সম্পর্ক ছিল। সোমাকে ধর্ষণ করেছে ইয়াছিন। আমরা বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে গেলে ইয়াসিনের পরিবার ফিরিয়ে দেন। তার পরেই আমার মেয়ে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করে। আত্মহত্যার পরেই মেলান্দহ থানায় মামলা দায়ের করি। আসামিরা এখনো গ্রেপ্তার হয়নি।
তাঁরা প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছে ও হুমকি দিচ্ছে আমাদের।
নিহতের মামা রবিজল বলেন, সাবেক কাউন্সিলর আমজাদ হোসেন কালু’র ছেলে ইয়াছিনের জন্য সোমা আক্তার আত্মহত্যা করেছে। মামলা হলো কেন যেন পুলিশ গ্রেপ্তার করছে না। আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে ইয়াসিনের ফাঁসির দাবি করছি।
উল্লেখ্য, গত (১৪ মে) শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার নয়ানগর ইউনিয়নের পুর্ব বুরুঙ্গা বৈঠাখালি এলাকা নিহত সোমা আক্তারের নিজ বাড়িতে বিষ পান করে। অজ্ঞান অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে জামালপুর সদর নিয়ে যাওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে সোমার মৃত্যু হয়।
নিহত সোমা আক্তারের মেলান্দহ রাবেয়া ইসলাম আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলো।
এ বিষয়ে মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ময়নুল ইসলাম বলেন, আসামিরা পলাতক রয়েছে। তাদেরকে গ্রেপ্তার করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।